CLASS --8 এর মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উপাদান -------প্রশ্ন ও উত্তর

Bapan
0

 

CLASS --8 এর মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উপাদান -------প্রশ্ন ও উত্তর 


১. খারিফ ফসল কি ? উদাহরণ দাও।

খারিফ ফসলঃ সাধারণত বর্ষার শুরুতে (জুন/ জুলাই) যে ধরনের ফসলের চাষ শুরু হয় আর সাধারণত বর্ষার শেষে (সেপ্টেম্বর /অক্টোবর) ফসল তোলা হয়, তাদের খারিফ ফসল বলে। খারিফ ফসলের ফলন নির্ভর করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর উপর। 
উদাহরণঃ ধান, ভুট্টা, তুলো, চিনেবাদাম, সয়াবিন হল কয়েকটি খারিফ ফসল। 

২.রবি ফসল বলতে কি বোঝায়? উদাহরণ দাও।  

রবি ফসলঃ সাধারনত শীতের শুরুতে (অক্টোবর / নভেম্বর )যে ধরনের ফসলের চাষ শুরু হয় আর শীতের শেষে (মার্চ /এপ্রিল) ফসল তোলা হয়, তাদের রবি ফসল বলে। রবি ফসল বর্ষার উপর নির্ভরশীল নয়। সাধারণত ঠান্ডা ও শুষ্ক জলবায়ুতে ফসল ভালো হয়।
 উদাহরণঃ গম, বার্লি, ছোলা, মোটর, সরষে হলো কয়েকটি রবি ফসল।

৩.কৃষিকাজ বলতে কোন কোন কাজকে বোঝায়?

একজন কৃষক বা চাষীকে ফসল উৎপাদনের জন্য নানারকম কাজ করতে হয়। এগুলিকেই কৃষিকাজ বলে। এই কাজগুলি হল -- ১.চাষের জন্য মাটি তৈরি করা। ২. বীজ বপন করা। ৩. সার প্রয়োগ করা। ৪. জলসেচ করা। ৫. আগাছা দমন করা। ৬. ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করা। ৭. ফসল তোলা ফসল এবং সঠিকভাবে সঞ্চয় করা।

৪.জমি চষার ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় ? 

জমি চষার উপকারিতা গুলি হল-- ১.মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার ফলে বীজ ও চারা রোপনের সুবিধা হয়। ২. বীজ অঙ্কুরিত হয়ে সহজে চারাগাছে পরিণত হতে পারে ।এছাড়া চারা গাছের মূল অতি সহজে মাটির গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং মাটিকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে পারে। ৩.মাটির মধ্যে হাওয়া চলাচল করতে পারে, ফলে গাছের মূলের শ্বাসকার্যের কোন সমস্যা হয় না। ৪. হালকা মাটিতে প্রাণীরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে, ফলে মাটিতে হিউমাস যুক্ত হয়। ৫.জমি চষার ফলে আগাছার বিনাশ হয়। তাছাড়া আগাছা গুলি মাটির মধ্যে মিশে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ৬.মাটির পুষ্টি উপাদানগুলিও মাটির উপরের দিকে চলে আসে, ফলে গাছ সহজে সেগুলি গ্রহণ করতে পারে।

৫.কৃষিজনিত আগাছা দমনের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়?

কৃষি জনিত আগাছা দমন এর পদ্ধতিগুলি হল-- ১. জমি চষা হয়, যার ফলে আগাছা গুলি মূলসুদ্ধ উপড়ে আসে এবং পরে ওইগুলি শুকিয়ে মাটিতে মিশে যায়। ২. অনেক সময় হাত দিয়ে আগাছা তুলে বাইরে ফেলা হয়। ৩.গোড়া থেকে কেটে আগাছা গুলিকে জমি থেকে পৃথক করা হয়। ৪. কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন-- 2,4-D,ড্যালাপোন  ইত্যাদি স্প্রে করে আগাছা দমন করা হয়।

৬.জৈব সার কেন অজৈব সারের চেয়ে ভালো?

জৈব সার যেসব কারণে জন্য অজৈব সারের চেয়ে ভালো সেগুলি হল- ১. জৈব সার মাটিতে ব্যবহার করলে মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ২. এইসার প্রয়োগ করলে মাটি রন্ধযুক্ত হয় ।ফলে মাটির মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন গ্যাসের আদান-প্রদান সহজ হয়। ৩. এই সার মাটিতে বসবাসকারী উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । ৪.এই সার মাটির গঠনকে উন্নত করতে সাহায্য করে।।

৭.এন পি কে (NPK) বলতে কী বোঝো? কোন কোন চাষে অজৈব সার ব্যবহার করা হয়?

এন পি কে: অজৈব সার প্রধানত তিন ধরনের মৌলের ঘাটতি পূরণ করে সেগুলি হল নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P) এবং পটাশিয়াম (K)।  কৃষিবিজ্ঞানে এদের সংক্ষেপে এন পি কে বলে

অজৈব সারের ব্যবহারঃ  অজৈব সার ধান, ভুট্টা, গম প্রভৃতি চাষে ব্যবহার করা হয়।

৮.কেঁচো কিভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? অথবা কেঁচো কে কী কারণে চাষীর বন্ধু বলা হয়?

মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কেঁচোর ভূমিকা হল -১.কেঁচো মাটিতে বসবাস করার সময় মাটিতে খুব সরু সরু গর্ত সৃষ্টি করে। ফলে মাটি বেশ আলগা হয় এবং জলবায়ু ও পুষ্টি উপাদান সহজে মাটির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। ২. কিছু মাটির বিভিন্ন জটিল জৈব উপাদানকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং সেগুলিকে সরল অজৈব ও জৈব উপাদান হিসেবে মাটিতে ত্যাগ করে। ফলে মাটিতে হিউমাসের পরিমাণ বাড়ে  এইসব কারণে কেঁচোকে  চাষীর বন্ধু বলা হয়।


১০.জৈব সার কিভাবে তৈরি হয়? অজৈব সার কাকে বলে?

জৈব সার তৈরীর পদ্ধতিঃ চাষিরা খোলা জায়গায় একটি গর্ত খুঁড়ে সেখানে মৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের বর্জ্য পদার্থ ফেলে রাখেন পচে যাওয়ার জন্য। ব্যাকটেরিয়া আর ছত্রাকের বিয়োজন ও রূপান্তর ক্রিয়ায় ওইসব বর্জ্য পদার্থ গুলি পচে গিয়ে জৈব সার তৈরি হয়। 
অজৈব সারঃ বিভিন্ন প্রকার অজৈব রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণে সার কারখানায় উৎপন্ন সারকে রাসায়নিক সার বলে।  যেমন ইউরিয়া সার পটাশ সার ।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !